করোনা সংক্রমণে মহিলার মৃত‍্যু সন্দেহে ধুন্ধুমার কান্ড পাত্রসায়েরে : পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ

17th July 2020 12:12 pm বাঁকুড়া
করোনা সংক্রমণে মহিলার মৃত‍্যু সন্দেহে ধুন্ধুমার কান্ড পাত্রসায়েরে : পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  করোনা সংক্রমণে এক মহিলার মৃত্যুর সন্দেহে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামদাস পুর গ্রামে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সম্প্রতি দিল্লী ফেরৎ ঐ মহিলা বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামবাসীদের অনুপস্থিতিতে পুলিশ ঐ মহিলার মৃতদেহ গ্রামের শ্মশানে দাহ করে। এমনকি সম্পূর্ণ সৎকার শেষ হওয়ার আগেই সকাল হয়ে যাওয়ায় শ্মশানে কাঠ জ্বলন্ত   ফেলে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। 

এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে শ্যামদাস সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। গ্রামবাসী মুক্তিপদ সাঁতরা, মৌসুমী ঘোষ, শঙ্করী বাউরীরা বলেন, স্বামীর কর্মসূত্রে ঐ মহিলা দিল্লীতে থাকতেন। সম্প্রতি তারা গ্রামের বাড়িতে আসেন। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ঐ মহিলা করোনা আক্রান্ত না হলে কেন পুলিশের উপস্থিতিতে রাতের অন্ধকারে মৃতদেহ সৎকার করা হলো সেই প্রশ্ন তুলে তারা পুরো এলাকা স্যানিটাইজ করা ও মৃতার পরিবার পরিজনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখার দাবী করেছেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।